আর্দ্র কৃষি কাকে বলে? এই কৃষির অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।

আর্দ্র কৃষি কাকে বলে? এই কৃষির অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।
Photo of author
Bishal Roy

Published On:

আর্দ্র কৃষি (Humid Agriculture): জলসেচের সাহায্য ছাড়া নিয়মিত ও পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টিপাতের (150 সেমির বেশি) ওপর নির্ভর করে যে কৃষিকাজ করা হয়, তাকে আর্দ্র কৃষি বলে।

আর্দ্র কৃষির (Humid Agriculture) অবস্থান

উভয় গোলার্ধে 10° অক্ষাংশ থেকে প্রায় 25° অক্ষাংশের মধ্যে মৌসুমি জলবায়ুর প্রভাবান্বিত দেশগুলিতে আর্দ্র কৃষি পরিলক্ষিত হয়। তবে ভারত, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এই পদ্ধতিতে কৃষিকাজ প্রায় 30° উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত।

আর্দ্র কৃষির সর্বাধিক প্রভাব লক্ষ করা যায় এশিয়া মহাদেশের পূর্বপ্রান্তে অবস্থিত ক্রান্তীয় অঞ্চলের দেশগুলিতে যেমন-

  • ভারত
  • বাংলাদেশ,
  • মায়ানমার,
  • খাইল্যান্ড,
  • ভিয়েতনাম প্রভৃতি দেশে।

এ ছাড়া আফ্রিকা মহাদেশের পূর্ব উপকূলে, উত্তর আমেরিকা মহাদেশের আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা উপকূলে এবং দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিলের পূর্ব উপকূলে এই পদ্ধতিতে কৃষিকাজ দেখা যায়।

আর্দ্র কৃষির (Humid Agriculture) বৈশিষ্ট্য

কৃষিকাজের ভৌগোলিক পরিবেশ: পাহাড়ি এলাকার প্রতিবাত ঢালে, মালভূমি অঞ্চলে মালভূমির ঢাল এবং সমতল শীর্ষদেশ বরাবর, সমতলভূমিতে নদী বা খাল থেকে দূরে যেখানে জলসেচের সুযোগ নেই এমন জমিতে আর্দ্র কৃষি দেখা যায়। নিরক্ষীয় ও মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলে এই পদ্ধতিতে অধিক কৃষিকাজ হয়।

কৃষিজমির আয়তন: উন্নয়নশীল দেশগুলিতে আর্দ্র কৃষির অন্তর্গত জোতগুলি ছোটো।

উৎপন্ন ফসল: ধান, পাট, আখ প্রভৃতি আর্দ্র কৃষির ফসল।

মূলধন: জলসেচের জন্য খরচের সুযোগ নেই। তাই কৃষিপণ্যের উৎপাদন ব্যয় কম। ফলে মূলধন বিনিয়োগের পরিমাণ সীমিত।

শ্রমিকের জোগান: কৃষক নিজের প্রয়োজন মেটানোর জন্য এই ধরনের কৃষিতে যোগ দেয়। কৃষকের দক্ষতা পরিবেশ নিয়ন্ত্রিত।

উৎপাদন: কৃষকরা অনেকক্ষেত্রে অসংগঠিত হওয়ায় ফলনের হার খুবই কম। কৃষিপণ্যের মোট উৎপাদনও বেশ কম।

এটিও পড়ুন :  সম্পদের কার্যকারিতা তত্ত্ব ব্যাখ্যা করো।